অনুবাদ পেশায় এক যুগ

ফিরোজ আহমেদ
ফ্রিল্যান্স অনুবাদক
বি.এ (অনার্স), এম.এ (ইংরেজি)
Email : linguistbd@gmail.com
  WhatsApp : +880-1716-732863  
Skype : microcosm95

বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের কাজে দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে জড়িত রয়েছি। ইংরেজি সাহিত্যে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার ব্যাকগ্রাউন্ড থাকায় অনুবাদ পেশায় এগিয়ে যেতে আমার অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনুবাদের কাজ ভীষণ পছন্দ করি এবং উপভোগ করি।

ব্যবহারিক কারণে যাদের বিভিন্ন ধরনের চুক্তিনামা, মামলার কাগজপত্র, গেজেট, রিপোর্ট, গঠনতন্ত্র, সংঘবিধি, সমঝোতা স্মারক, আচরণবিধি, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, বই-পুস্তক, পেপার কাটিং, সার্টিফিকেট, এফিডেভিট, চিঠিপত্র, মুভির সাবটাইটেল, অডিও-ভিডিও, ওয়েবসাইট, ব্লগ, অ্যাপ ইত্যাদির অনুবাদ দরকার হয় তারা সবসময় দক্ষ, কুশলী, অভিজ্ঞ ও সময়নিষ্ঠ অনুবাদকের খোঁজ করে থাকেন। এরকম ক্ষেত্রে স্বল্প খরচে যথাসময়ে নির্ভুল অনুবাদ পাওয়াটা তাদের কাছে সত্যিই জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

তাই, গ্রাহকের দিক থেকে অনুবাদের কাজটিকে আমি একটি জরুরি পরিষেবা হিসেবেই দেখি। মূল ডকুমেন্টের বিষয়বস্তু ঠিক রেখে নির্ভুলভাবে অনুবাদ করাটা অবশ্যই একটি বড় দায়িত্বের ব্যাপার। আবার, ভিন্ন ভাষাভাষী লোকজনের মাঝে কার্যকর ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়ার জন্য সেই ধরনের আন্তরিকতা অনুভব করারও ব্যাপার।

অনুবাদ যেমন আক্ষরিকভাবে করলে তা ভালো অনুবাদ হয় না, তেমনি আবার মূল বিষয়বস্তু থেকে দূরে সরে গেলেও অনুবাদের কোনো অর্থ থাকে না। তাই, নির্ভুল অনুবাদের কাজটি মোটেও কোনো সহজ কিংবা হেলাফেলার কাজ নয়, বরং খুবই সংবেদনশীল একটি কাজ। ফলে, একজন অনুবাদককে একাধিক ভাষা, শব্দভাণ্ডার, শুদ্ধ বানান, ভাষা ব্যবহারের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট- এগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হয়। ডকুমেন্টের ধরন অনুযায়ী ভাষাশৈলী ব্যবহার করতে হয়। অনুবাদের ক্ষেত্র অনুযায়ী উপযুক্ত পরিভাষা সম্পর্কেও জানতে হয়। বিশেষ করে, আইন, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সংক্রান্ত টেকনিক্যাল শব্দগুলো উপযুক্তভাবে ব্যবহার না করতে পারলে অনুবাদে বড় রকমের ভুলত্রুটি হয়ে যেতে পারে, যা শেষপর্যন্ত গ্রাহককে ক্ষতিগ্রস্তও করতে পারে।

সর্বোপরি, গ্রাহককের চাহিদামতো নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুবাদের কাজটি হস্তান্তর করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নিবিড় মনোযোগের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। সময়ের আগে কাজ বুঝিয়ে দিলে গ্রাহকও চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। একজন ভালো অনুবাদক সবসময় গ্রাহককে চিন্তামুক্ত রেখে যথাসময়ে নির্ভুল অনুবাদ সরবরাহ করবেন- এটাই তার দায়িত্ব ও পেশাদারিত্ব।

তাই, আপনার কোনো ডকুমেন্ট অনুবাদের প্রয়োজন হলে একেবারে সস্তায় যেনতেন অনুবাদকের কাছে না গিয়ে কিছুটা সময় নিয়ে ভালো অনুবাদক খুঁজে নিন। তাতে প্রথমে কিছুটা সময় ব্যয় হলেও যথাসময়ে নির্ভুল অনুবাদ বুঝে পাওয়াটা নিশ্চিত হবে। সময় বাঁচানোর চেষ্টায় তাড়াহুড়ো করে ভুল জায়গায় সস্তা অনুবাদ করতে দিয়ে পরে হয়রানির শিকার হয়েছেন- এমন ঘটনা বিরল নয়। তাই, একটু সময় নিয়ে হলেও ভালো অনুবাদকের সন্ধান করলে হয়রানির সম্ভাবনা থাকবে না। পরবর্তীতে আবার প্রয়োজন হলে একই জায়গায় কাজ দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।

পরিশেষে, অনুবাদের কাজকে আমি অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশা বলে মনে করি। দীর্ঘদিনের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই পেশায় আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।

আর আপনার সাথে কাজ করার সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজের সেরা প্রচেষ্টায় সেটি করবো।

ধন্যবাদ।

Feroz Ahmed
Freelance Translator
01716732863

অনুবাদের জন্য যোগাযোগ: 8801716732863


অনুবাদ জগতে ঢাকা অনুবাদ পুরোনো নাম। গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে ভালো অনুবাদ হয় না। বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিংবা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করতে হলে তাই ঢাকা অনুবাদের মতো দেশজুড়ে থাকা অসংখ্য অনুবাদ কেন্দ্র অনুবাদ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদের কিছু নিয়ম আছে। যথাযথ নিয়ম মেনে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট সঠিকভাবে অনুবাদ করার জন্য বর্তমানে অনলাইনেও সার্ভিস পাওয়া যায়। আমি নিজে অনুবাদক হিসেবে বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনেকদিন আগে থেকে তালিকাভুক্ত আছি। গুগল ট্রান্সলেশন-এর পরিবর্তে যারা বাংলা হতে ইংরেজি অনুবাদ অথবা ইংরেজি হতে বাংলা অনুবাদ সঠিকভাবে করে নিতে চান তারা আমার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন।

ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার নিয়ম জানতে অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন কোনো সফটওয়ারের মাধ্যমে অনুবাদ করার জন্য কিন্তু সেটি কোনো সঠিক উপায় নয়। বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ বই, ইংরেজি ভাষা বাংলা অনুবাদ, গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি অনুবাদ, ইংরেজিতে অনুবাদ, ইংরেজি থেকে বাংলা ট্রান্সলেশন, গুগল অনুবাদ, বাংলা থেকে ইংরেজি করার সফটওয়্যার, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার অ্যাপ -ইত্যাদি লিখেও গুগলে সার্চ দিতে দেখা যায়। এভাবে কেউ কেউ বিনা খরচে সফটওয়ারের মাধ্যমে অনুবাদ করাতে চান। কিন্তু সেভাবে কোনো মানসম্মত অনুবাদ পাবেন না। এছাড়াও translation center in dhaka, native english translator, global translation center, translation center- এসব দিয়েও অনেকে সার্চ করেন। এনারা প্রধানত English to Bengali করানোর জন্য কোম্পানি বা ব্যক্তিদেরকে খুঁজে থাকেন। এটাই সঠিক উপায়।

বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদক অনেকেই কম খরচে অনলাইনে ভালো অনুবাদ করে দেন। dhaka onubad তো আছেই। এটি একটি বড় কোম্পানি। আমি নিজে ঢাকা অনুবাদের সাথে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে আসছি। তাই অনুবাদের জন্য কোনো কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারের সাথে যোগাযোগ করাই ভালো। গুগল কিংবা সফটওয়ার খুব ভালো কিছু হবে না। আমি ভাত খাই -এর ইংরেজি হয়ত গুগলে সঠিকভাবে পাওয়া যাবে। কিন্তু এরকম সরল অনুবাদ ছাড়া জটিল অনুবাদে গুগল ট্রান্সলেশন সঠিক হয় না।

দৈনিক বাংলা মোড় থেকেও অনেকে অনুবাদ করিয়ে নেন। সেখানে বাংলা থেকে আরবি অনুবাদ কিংবা বাংলা থেকে আরবি ট্রান্সলেশন, আরবি থেকে বাংলা ট্রান্সলেশন করার ব্যবস্থাও আছে। তবে, দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত গিয়ে অনুবাদ করিয়ে নেওয়ার মতো সময় যদি না থাকে তাহলে আমার সাথে সরাসরি মেইলে বা ফোনে যোগাযোগ করলে আমি অনেক বেশি মানসম্মত অনুবাদ স্বল্প খরচে কম সময়ে ডেলিভারী দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার নিয়ম জানতে অনেকেই- বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ প্রশ্ন, বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ গল্প, ইংরেজি ভাষা বাংলায় অনুবাদ, বাংলা থেকে বাংলা অনুবাদ, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ বই

আমি ভাত খাই এর ইংরেজি কি, বাংলা থেকে ইংরেজি ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ, dhaka anubad, google tasleson bangla, বাংলা অনুবাদ ইংরেজি, বাংলায় অনুবাদ করুন, ইংরেজি থেকে ইংরেজি অনুবাদ -এসব লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে অনুবাদক খোঁজেন বা অনুবাদের কাজে সাহায্য চান। তাদের জন্য পরামর্শ হলো আপনারা সরাসরি কোনো অনুবাদকের সাথে যোগাযোগ করুন। তাতে সময় বাঁচবে, খরচ কম হবে, মানসম্মত অনুবাদ পাবেন।

আমি প্রায় এক যুগ ধরে অনুবাদের কাজের সাথে জড়িত আছি। ছোট বড় অনেক ডকুমেন্ট, বই, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, চুক্তিনামা, দলিলপত্র, সরকারি গেজেট, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিধিমালা সহ সব ধরনের অনুবাদের কাজ সুনামের সাথে করে আসছি। আমি ইংরেজি, চীনা, জাপানিজ, রাশিয়ান, স্প্যানিশ, আরবী ইত্যাদি অনেক বিদেশী ভাষায় অনুবাদও করে থাকি।

আশা করি শীঘ্রই আপনার সাথে কথা হবে। ধন্যবাদ।

ফিরোজ আহমেদ

মোবাইল- 01716732863
ইমেইল: linguistbd@gmail.com

সেরা ৪৫ অনুবাদ কেন্দ্র ও ট্রান্সলেশন সেন্টার

অনলাইনে সেরা বাংলা অনুবাদ সার্ভিস পেতে যোগাযোগ করুন-


 WhatsApp:
+880-1716-732863 

Email:

feroz.ferozahmed@gmail.com

ঢাকা অনুবাদ কেন্দ্র

ফ্রেন্ডস ট্রান্সলেশন সেন্টার

হক ট্রান্সলেশন সেন্টার

ওরিয়েন্টাল ট্রান্সলেশন

রিলায়েন্স ট্রান্সলেশন সেন্টার

প্রফেসর ট্রান্সলেশন সার্ভিস

মিশন ট্রান্সলেশন সেন্টার

নিউ আল মদিনা ট্রানশ্লেসন সেন্টার

পূর্বাচল অনুবাদ কেন্দ্র

মহানগর ট্রান্সলেশন

কুশল ট্রান্সলেশন সেন্টার

পেমেন্ট ফর ডিএসএ

ডিকোড ট্রান্সলেশন

অ্যাডভোকেট ট্রান্সলেশন

আল-মিশকাত ট্রান্সলেশন

রাজধানী ইন্টা. ট্রান্সলেশন সার্ভিস

মিজান অনুবাদ কেন্দ্র

সৌদিয়া অনুবাদ

শান ইসলাম কনসালটেন্সি

প্রগ্রেসিভ অনুবাদ

সাউদিয়া ট্রান্সলেশন

চট্টগ্রাম অনুবাদ কেন্দ্র

এবিসি অনুবাদ কেন্দ্র

বাংলাদেশ অনুবাদ কেন্দ্র

এবিসি অনুবাদ কেন্দ্র

মোল্লা ট্রানশ্লেসন সেন্টার

বাংলাদেশ অনুবাদ প্রা. লিমিটেড

আল মাহমুদ অনুবাদ সেন্টার

দারুল আরাবিয়া ট্রান্সলেশন সেন্টার

পেশা অনুবাদ কেন্দ্র

প্রফেশন অনুবাদ কেন্দ্র

মিশন ওনুবাদ কেন্দ্র

নিউ অনুবাদ কেন্দ্র

ওয়েস্টার্ন ট্রান্সলেশন সেন্টার

ল-চেম্বার, নোটারি পাবলিক অ্যান্ড ট্রান্সলেশন সেন্টার

বাঁধন ট্রান্সলেশন অ্যান্ড কমার্শিয়াল সেন্টার

নাবিলা অনুবাদ সেন্টার

ইকরা অনুবাদ

লক্ষ্মীপুর কমার্শিয়াল সেন্টার

আদর্শ অনুবাদ

নিউ আল-আসাদ ট্রান্সলেশন সেন্টার

ফেনী ট্রান্সলেশন সেন্টার

সুন্দরবন অনুবাদ কেন্দ্র

প্রগ্রেসিভ অনুবাদ

আল-ইনসাফ অনুবাদ সেন্টার


অনলাইনে বাড়তি আয়ের সুযোগ

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য কাজের পরিবেশ উদ্যম জোগাতে পারে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয়ের জন্য অনলাইনে কাজ করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন স্রেফ বাড়তি উদ্যম, ধৈর্য আর কাজের দক্ষতা।
জাহেদুর রহমান কাজ করেন বাংলাদেশের একটি সফটওয়্যার নির্মাণপ্রতিষ্ঠানে। তাঁর দক্ষতা প্রোডাক্ট বা মেকানিক্যাল ডিজাইনে। লেখাপড়া শেষ করে প্রয়োজনের তাগিদে চাকরি নিয়েছিলেন তাঁর বর্তমান প্রতিষ্ঠানে। অফিসে পুরো সময় দেওয়ার পর রাতে, সকালে আর ছুটির দিনে অনলাইনে কাজ করেন।
জাহেদুর রহমানের ভাষ্য, ‘আমি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি। কিন্তু গত এক মাসে অনলাইনে কাজ করে আমি বাড়তি ৬৫ হাজার টাকা
আয় করেছি। ওডেস্ক আর ইল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিই; ডিজাইনের কাজ করি আমি।’
তিনি জানান, অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। চাকরির দক্ষতা অনলাইনের কাজে লাগানো যেতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে। অফিস থেকে বের হয়ে আবার কাজ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। ভালো ইংরেজি বুঝতে হবে এবং স্কাইপ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহার জানতে হবে। অনলাইনে পেশাদার মানসিকতা নিয়ে বসতে হবে।
অনলাইনে আয় করাটা খুব সহজ নয়, আবার খুব সহজ। চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয়ের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমে কাজ পেতে হয়তো সমস্যা হবে। ‘ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলে চাকরির পাশাপাশি আয় করাটা সহজ।’ বললেন জাহেদুর রহমান। তাঁর স্বপ্ন নিজেই এবার উদ্যোক্তা হবেন। একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নতুনদের কাজ শেখানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন।
তিনি বলেন, তাঁর অনেক বন্ধুই চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয় করছেন। তাঁর ভাষ্যে, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের অনেকেই এখন অফিসের বাইরেও ফ্রিল্যানসিং করছেন। অন্যান্য পেশার ফ্রিল্যানসারদের সংখ্যা কম। তবে উদ্যোগী হলে অনেকেই বাড়তি কিছু আয় করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজনে কিছু প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ করতে পারেন তাঁরা।
দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিকল্পনা বিভাগে কাজ করেন মোবারক হোসেন। প্রথম আলো অনলাইনকে মোবারক হোসেন খান তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, বাড়তি কিছু আয়ের জন্যই তিনি ব্যাংকের চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যানসার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন ২০১১ সালে। ওডেস্ক প্ল্যাটফর্মে প্রতি ঘণ্টায় তাঁর বর্তমান আয় ৩০ ডলার। আর হিসাব করলে সপ্তাহ শেষে এ আয় দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ২০০ ডলারে। ব্যাংকের পরিকল্পনা বিভাগে কাজ করেন বলে তিনি শুরু থেকেই ওডেস্কে এ ধরনের প্রকল্পের কাজ খুঁজছিলেন। তবে শুরুটা করেন ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও জানান, ওডেস্ক বা এজাতীয় প্ল্যাটফর্মে বাংলদেশি ফ্রিল্যানসারদের অবস্থান ভালো। ব্যবসার পরিকল্পনা, গ্রাফিকস, মেকানিক্যাল—এসব ক্ষেত্রে খুব কম উপস্থিতি দেখা যায়। ব্যবসার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বড়জোর তিন-চারটি বিড করা হয়। এখানে সম্ভাবনা আছে। দক্ষতা থাকলে তবেই কাজ শুরু করা উচিত। দক্ষ হয়ে কাজ না করলে দেশি ফ্রিল্যানসারদের কাজের মান নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে, যার প্রভাব খুব ভালো না-ও হতে পারে। কাজ জানা থাকলে সবার জন্য সম্ভাবনার ক্ষেত্র ফ্রিল্যানসিং।
কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য, উদ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে মোবারক হোসেন বলেন, সাহস করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রোফাইল উন্নত করা প্রয়োজন সবার আগে। যিনি কাজ দেবেন, ওই বায়ার যদি সন্তুষ্ট হন, আর ভালো মন্তব্য করেন, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। অবশ্য অতি-উত্সাহী হওয়া উচিত নয়। সম্ভাবনা আর মেধা কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের উত্সাহিত করতে হবে।
একটি প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগে কাজ করছেন রুবেল আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির বড় পদেই কাজ করছেন তিনি। তার পরও তিনি ফ্রিল্যানসিং করছেন। তাঁর ভাষ্য, বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যানসারদের সংখ্যা বাড়ছে। কাজে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যানসিং করলে আয় করা সহজ।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে কাজ করে বর্তমানে এর কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে চাকরি করছেন সাইদুর মামুন খান। ইল্যান্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইদুর মামুন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, অনলাইনে আয়ের জন্য বয়স, পেশা বা চাকরি কোনো বিষয় নয়। দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভালো কম্পিউটার, দক্ষতা, উদ্যম আর মানসিকতা থাকলেই কাজ শুরু করা সম্ভব। বাড়তি আয়ের জন্য চাকরির পাশাপাশি অন্য কাজ করাই যায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় অনলাইনে থাকার প্রয়োজন পড়ে।
ফ্রিল্যানসার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ করছেন জাহরা জাহান। তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা উদ্যোক্তা, চাকরির পেছনে ছুটছি না। আমরা চাকরি করব না, আমরা চাকরি দেব।’
বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমেদের ভাষ্য, ফ্রিল্যানসাররাই হচ্ছেন আগামী দিনের উদ্যোক্তা। ফ্রিল্যানসাররা সচেতন হলে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব। ফ্রিল্যানসিংয়ের যেকোনো কাজের সঙ্গে বেসিস থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের ভাষ্য, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যানসাররা আউটসোর্সিং থেকে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি টাকা আয় করেছেন। একাজে তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা ও উত্সাহ প্রয়োজন। বাংলাদেশে ফ্রিল্যানসিংয়ে নারীদের সংখ্যা কম। শুধু চাকরি না খুঁজে বা চাকরির পাশাপাশি নারীরাও ফ্রিল্যানসিং করে আয় করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

নতুনদের জন্য পরামর্শ
আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ওডেস্ক ডটকমে চার-পাঁচটি কাজের আবেদন করেই কাজ (জব) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টি আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম পারিশ্রমিকে (ডলার) আবেদন করেছেন, তার ওপর।
এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, আপনার কাজের মানের ওপর পারিশ্রমিক দাবি করবেন। এ জন্য চাই আত্মবিশ্বাস। একটি ৫০ ডলারের কাজ পাওয়ার জন্য পাঁচ ডলার চাওয়া মোটেও উচিত নয়। এতে যিনি কাজ দেন, তাঁর মনে আপনাকে নিয়ে এবং আপনার কাজের মান নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে।
নতুন যাঁরা ওডেস্কের মাধ্যমে কোম্পানি হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. যেসব কাজদাতা বা বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত (পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড) হয় না, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কন্ট্রাক্টরকে কাজ দিতে গেলে বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত থাকতে হয়।
২. কোনো একটা কাজ প্রকাশ (জব পোস্ট) করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন, ততই ভালো।
৩. আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ওডেস্কে) থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু জব আছে, যেগুলো প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানে এক দুই ঘণ্টার মধ্যেই করে জমা দিতে হয়। যেমন—ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাত্ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি।
৪. কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো মেসেজ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার রিপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবেন, আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক।
৫. ওডেস্কে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো।

লেখক: মিন্টু হোসেন
প্রকাশিত:০১-০২-২০১৩


অনুবাদ করেই আয়

বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান, পর্যটন ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, বিদেশি এনজিও, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইউনিট, বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল, সরকারি-বেসরকারি রেডিও প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে অনুবাদক নিয়োগ দেওয়া হয়। পত্রিকা অফিসগুলোতে অনুবাদকের ভীষণ কদর। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্স অনুবাদকরা বিদেশি কোনো জার্নালে প্রকাশিত বিশেষ ফিচার, বিদেশি আলোচিত বই অনুবাদ করে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করেও আয় করতে পারেন।

নিজেরও হতে পারে অনুবাদকেন্দ্র
বিদেশি ভাষার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজেই একটি অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তুলতে পারেন। এ ধরনের কেন্দ্র গড়ে তুলতে বিশেষ কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। একটি ছোট্ট অফিস নিয়েও আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে
পারেন। দলিল, হলফনামা, জাতীয়তা সনদ, নিকাহনামা, জীবনবৃত্তান্ত, চাকরির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভ্রমণ বা কাজের জন্য বিদেশে গমনেচ্ছুদের বিভিন্ন কাগজপত্র, ব্যাংক সলভেন্সি ও স্টেটমেন্ট, এফিডেভিট, ট্যাক্স সংক্রান্ত কাগজপত্র বাংলা থেকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন ভাষায় থাকা প্রয়োজনীয় তথ্য অনুবাদ করে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতে পারেন।

আয়ের অনেক সুযোগ
চাকরির বাজারে একজন অনুবাদকের চাহিদা অনেক। ভালো বেতনও পাওয়া যায়। তবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তার ওপর। প্রাথমিকভাবে আট হাজার থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া সম্ভব। 
অনুবাদ কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর খুচরা গ্রাহক পাওয়া যায়, যাঁরা এক থেকে দুই পৃষ্ঠা অনুবাদ করাতে আসেন। প্রতি পৃষ্ঠা ৫০ থেকে ১০০ টাকা হিসেবে সম্মানী পাওয়া সম্ভব। অনেকে বড় ধরনের অনুবাদ করান। সে ক্ষেত্রে তিন থেকে ১০ হাজার টাকাও সম্মানী মিলতে পারে।

কোথায় শিখবেন বিদেশি ভাষা
শহরের যেকোনো ইংরেজি শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তি হয়ে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সহজেই ইংরেজি ভাষা রপ্ত করা সম্ভব। তবে অন্য বিদেশি ভাষা যেমন কোরিয়ান, হিন্দি, জাপানিজ, চায়নিজ, উর্দু, ফরাসি, ইতালিয়ান, মালয়েশিয়ান ইত্যাদি ভাষা রপ্ত করতে হলে আপনাকে ঢাকা আসতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের কোর্সগুলো বেশ মানসম্মত। খরচও কম। এ ছাড়া ঢাকা ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, রাশিয়ান কালচার সেন্টার, ব্রিটিশ কাউন্সিল, জার্মান কালচারাল সেন্টার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এবং অন্যান্য দেশের দূতাবাসের কালচারাল সেন্টারেও যোগাযোগ করতে পারেন।

লেখক: এম ফরহাদ হোসেন  

প্রকাশিত: কালের কণ্ঠ শুক্রবার ২২ জুলাই ২০১৬। ৭ শ্রাবণ ১৪২৩। ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭

আয় হোক অনুবাদ করে

আমাদের মাতৃভাষা বাংলা হলেও বর্তমানে এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ও ধারণা থাকলে কাজ করার কিছু সুযোগ পাওয়া যায়। তাই দু-একটি বা কিছু বিদেশি ভাষা শিখে আপনিও সুযোগটি নিতে পারেন।কারণ দিন দিন এ কাজের সুযোগ বাড়ছে। বিদেশি ভাষার ব্যাকরণ জেনে প্রচলিত ভাষারীতির মাধ্যমে অনুবাদ করতে পারলে কাজের অভাব হবে না।গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক খবর বাংলায় অনুবাদ করার কাজ যেমন রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন অনুবাদ কেন্দ্রেও অনুবাদক হিসেবে খণ্ডকালীন বা সার্বক্ষণিক কাজ করার সুযোগ আছে।

অনুবাদকের কাজ
ঢাকার মতিঝিলের দৈনিক বাংলা মোড়ের সৌদিয়া অনুবাদ কেন্দ্রের অনুবাদক আবদুস সাত্তার জানান, তাদের সাধারণত দলিল, হলফনামা, নিকাহনামা, 

পেশা যখন অনুবাদক

আমাদের দেশে এখন নতুন নতুন বিষয়ে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এরকমই একটি কাজ হচ্ছে অনুবাদের কাজ। আমাদের মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি অন্য বিদেশি ভাষায় যাদের ভালো জ্ঞান আছে এই ক্ষেত্রে তাদের চাহিদা বেশি। অনেক বিদেশি দূতাবাসেই এখন অনুবাদক হিসেবে কাজের জায়গা ও চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বড় বড় কোম্পানিগুলোতে যারা বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদে দক্ষ তাদেরকে ভালো সুযোগ দেয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমগুলোতে আন্তর্জাতিক সংবাদ বাংলায় অনুবাদের যেমন ব্যবহার আছে, তেমনি অন্যান্য ভাষার ব্যবহারও সমান ভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। চায়নিজ, কোরিয়ান বা জাপানি ভাষা জানা আছে এমন অনুবাদকের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ। তাছাড়া সাহিত্যের জগতে কদর তো আছেই।

আলাদা রকম পেশার কথা ভাবো যদি

ছোটবেলায় স্কুলে অনেক সময় পরীক্ষায় বা ক্লাসে অনুশীলন হিসেবে অনুবাদ করতে দেওয়া হত। সেই অনুশীলনকেই আজকের দিনে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। লিখছেন ওড়িয়া থেকে বাংলায় সাহিত্য অনুবাদ নিয়ে সম্প্রতি এক কর্মশালা থেকে বেরিয়ে শুরু হয়েছিল তর্কটা। দ্বিতীয় বর্ষের দুই সাহিত্যের ছাত্রী আলোচনা করছিল ওড়িয়া গল্প অনুবাদ করতে গিয়ে সব শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ না পাওয়া গেলে কত রকম সমস্যা হচ্ছে তাদের কাজে। আরও দু’জন তাতে ঢুকে পড়ায় কথা গড়াল অনুবাদের নানা সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে।
‘শব্দ ধরে ধরে অনুবাদ করতে হয় নাকি?’
‘কিন্তু, তা হলে অনুবাদ হবে কী করে?’
‘অনুবাদ তো হবে বক্তব্য ও ভাব, শব্দ নয়।’

পেশা হিসেবে অনুবাদ কেন্দ্র

উদ্যোক্তা
অনুবাদ কেন্দ্র করতে হলে প্রথমেই আপনাকে হতে হবে একজন উদ্যোক্তা । তবে এক বা একাধিক ব্যক্তিও উদ্যোক্তা হতে পারেন।

মূলধন
অনুবাদ কেন্দ্রের জন্য মূলধন হিসেবে ন্যূনতম ৮-১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। যে টাকা আপনার অফিস স্পেস, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য দরকার।

অনুমোদন
অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

পেশাদার অনুবাদক হতে চান?

আপনার মাতৃভাষার পাশাপাশি যদি অন্য এক বা একাধিক ভাষায় মোটামুটি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনুবাদের কাজকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।

মোটামুটি দক্ষতা আর শুরু করার ইচ্ছা থাকলে আপনি এটাকেই মূল পেশা অথবা আপনার মূল পেশার সাথে খন্ডকালীন কাজ হিসেবে নিতে পারেন।

এজন্য আপনাকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে অফিস নিতে হবে না কিংবা আসবাবপত্র কিনতে হবে না। তবে শুরুতে বেশ খানিকটা সময় ব্যয় করতে হবে। 

একটি ল্যাপটপ বা পিসি তো থাকতেই হবে; সাথে ভালো টাইপিং স্পিড এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। হ্যাঁ আমি আউটসোর্সিংয়ের কথাই বলছি।

ঘরে বসে অনলাইনে অনুবাদের কাজ করে আপনি যথেষ্ট আয় করতে পারেন। অবশ্য সেজন্য নিজেকে তৈরি করার দরকার আছে।

অনুবাদক হিসেবে আমাদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে নিবন্ধন করুন।